আপনার স্ত্রী যখন আপনার কাছ থেকে সময়,যত্ন,ভালোবাসা কম পাবে,তখন দেখবেন সে..
আপনার স্ত্রী যখন আপনার কাছ থেকে সময়,যত্ন,ভালোবাসা কম পাবে,তখন দেখবেন সে তার চাহিদা বাড়াতে থাকবে!
শাড়ি,গয়না,আসবাবপত্র, কিংবা ঘর সাজানোর যাবতীয় জিনিস কিনতে বায়না ধরবে।বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে চাইবে।
আপনার থেকে যখন সময়,যত্ন কিংবা ভালোবাসা পাবে না,তখন সে অন্যকিছুতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাইবে!
আবারঃ
আপনার স্বামী যখন আপনার কাছ থেকে মানসিক এবং শারীরিক সাপোর্ট পাবে না,তখন তার মেজাজ খিটখিটে থাকবে আপনার সাথে!অকারণে ঝগড়া করবে,সব কাজে ভুল ধরা শুরু করবে!
স্ত্রী যদি মানসিক কিংবা শারীরিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়,তবে সে পুরুষ কখনো সফলতার মুখ দেখতে পারে না!সে থাকবে কেবলই হতাশাগ্রস্ত!
সত্যি বলতে;
পুরুষ মানুষ সব সহ্য করতে পারে,শুধু তার শারীরিক কিংবা মানসিক চাহিদার অপূর্ণতা সহ্য করতে পারে না!আপনি আপনার স্বামীর সাথে যত শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন,আপনাদের মাঝে তত দূরত্ব বাড়তে থাকবে!
জানেন তো?
মানুষ তার সঙ্গীর অবহেলা পেলে;মনে জেদ,তেজ আর রাগ পুষতে থাকে!যা একসময় অনেক বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়,সংসারে তৃতীয় পক্ষের আগমন ঘটে,সম্পর্ক বিচ্ছেদে রূপ নেয়!আর তখন পাশাপাশি এক বিছানায় থেকে শুধু নামেমাত্র সংসারের দায়িত্ব পালন করে গেলেও,মনের দূরত্বটা আজীবন থেকে যায়!
সংসারে স্বামী-স্ত্রীকে থাকতে হয় একে-অপরের পরিপূরক হিসাবে।পরস্পর পরস্পরের দোষ না খুঁজে বরং পরস্পরের যেটা প্রয়োজন,তা পরস্পর মিলেই মিটিয়ে নিন।একজনের মানসিক সাপোর্ট লাগলে,তাকে মানসিক সাপোর্ট দিন,সময় দিন,যত্ন দিন।অপরজনের শারীরিক সাপোর্ট লাগলে,তার শারীরিক চাহিদা পূরণ করুন।কেউ কাউকে দোষারোপ না করে,পরস্পরের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
পৃথিবীর সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী!
সংসার জীবনে অশান্তি নিয়ে,পৃথিবীর কোনো মানুষই ভালো থাকতে পারে না–কস্মিনকালেও না!