আমার কাছে মুজো বা মোজো কখনোই ভাল লাগতো না। আবার অনেক সময়..
মজার ব্যপার হল আমি ২০২৩সালের আগে নিজের টাকায় মনে হয় কখনো মোজো কিনি নাই। অল্প কয়েকবার আরসি কোলা আর নয়তো প্রায়ই সেভেন আপ বা স্প্রাইট কিনে খেতাম। আবার কখনো মাউন্টেন ডিউ।
আমার কাছে মুজো বা মোজো কখনোই ভাল লাগতো না। আবার অনেক সময় এই কোমল পানিয় এক্কেবারেই কেনা বন্ধ করে দিয়েছি বা খাইনি। না কিনে বরং ঐ টাকার সাথে কিছু এড করে আইস্ক্রিম খেতাম।
এই ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে মোজো খুজে পাইনি। আড়াইহাজার থানায় যাচ্ছিলাম ছাগল কেনার জন্য। তখন এক বাজারে মোজো দেখতে পেলাম। টুকটুক ড্রাইভার আব্দুল্লাহ আমাদের নামিয়ে দিয়ে যখন চলে আসবে তখন তাকে ১০০০টাকা দিয়ে বলি তুমি মোজো কিনে বাড়ি নিয়ে যেও।
যে পথ দিয়ে সে আমাদের নিয়ে আসে ঐ পথে কোন কারনে আর যেতে পারেনি। সে ৭টা হাফ লিটারের মোজো বাড়িতে দিয়ে আসে।
পরেরদিন মাধব্দী যাওয়া হয়। রিয়াদ আর আমি মোজো কেনার উদ্যেশ্য নিয়ে যাইনি। কাচা বাজার বা ঈদ আসলেই আমি এখন একটা বড় সাইজের পেস্ট্রি কেক কিনে আনি বাচ্চাদের সাথে ঈদ সেলিব্রেট করার জন্য।
কোন কারনে নিত্য বাজারে ঢুকা হয় আর সেখানে মুজো দেখতে পাই। ক্যাশ কাউন্টারে জিজ্ঞেস করলাম কয়টা মোজো আছে আমাকে দিন।
প্রথমে ভাব দেখিয়ে বল্ল না আপনাকে দেয়া যাবেনা এতগুলো মোজো। এরপর যা ছিল মোট ৪৫টা কিনে নিলাম। একটাও ফেলে আসিনি।
কিছুক্ষন পর সপ্ন স্টোরে গিয়ে দেখি মোজোতে ছাড় ১টাকা আর বিদেশি গুলোতে ১১টাকা বা ১৫টাকা ছাড় ২লিটারের বোতলে!
এত্ত ছাড় তারপরেও আমার ১টাকা করে ছাড় পেয়েছি বলে ভাল লেগেছে।
এখন বিন্দেশি পানি কেনা হয়না। এখন আমার দেশের পানিই আমার কাছে ভালো লাগে। অমৃত মনে হয়। নতুন করে ফ্রেস কোলা এড হয়েছে। ডেইলি কোলা হুট করে এসেই আবার কোথায় লুকিয়ে গেল বুজলাম না।
মাকছুদুর রহমানের দোকান থেকে ৪দিন আগে ফ্রেস কোলা ট্রাই করলাম। ভালই লেগেছে। ঢাকায় এসে বেশ কিছু দোকানে দেখলাম ফ্রেস কোলা।
গতকালকেও আমি ঘুরতে বের হলাম। বিশাল পরিচিত দোকানে সব বিদেশি কিন্তু পানি ছিল দেশীয়। তাই পানি কিনে খেলাম। আজকাল পানির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোমল পানিয় একদম না খাওয়াই ভাল। আর খেতে চাইলে অন্তত এখন দেশেরটাই কিনে খাব।