এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪: কত নাম্বারে হবে?

২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে, পরীক্ষা কত নাম্বারে হবে এবং কোন বিষয়ে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে। 

ছবি: Pinterest

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন বা মার্কিং স্কিম পূর্বের পরীক্ষাগুলির তুলনায় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি। বিভিন্ন বিষয়ের জন্য নম্বর বণ্টন এবং পরীক্ষার ধরন পরিবর্তন হতে পারে, তবে সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোট ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা নেওয়া হয়।


সাবজেক্ট ভিত্তিক নম্বর বণ্টন:

বিজ্ঞান বিভাগ: সাধারণত বিজ্ঞান বিভাগে প্রতিটি বিষয়ে থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা থাকে। থিওরি পরীক্ষায় সাধারণত ৭০ নাম্বার এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ৩০ নাম্বারের পরীক্ষা নেওয়া হয়।

  

মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ: এই বিভাগগুলিতে সাধারণত ১০০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা হয়। তবে কিছু বিষয়ের জন্য প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে নম্বর প্রদান করা হয়।


মূল্যায়ন পদ্ধতি:

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য নিয়মিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাধারণত, উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণ নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী নম্বর প্রদান করেন। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড ও নম্বর বরাদ্দ করা থাকে।


পরীক্ষা কত নাম্বারে হবে এবং কীভাবে মূল্যায়ন হবে, এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে শিক্ষার্থীদের বোর্ডের অফিসিয়াল নোটিশগুলির দিকে নজর রাখতে হবে। পরীক্ষার সময়সূচী এবং নম্বর বণ্টনের বিস্তারিত তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া এবং বোর্ডের সব ধরনের নির্দেশনা মেনে চলার। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে এখন থেকেই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে হবে।

ভালো প্রস্তুতির জন্য করণীয়

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে পড়াশোনা করতে হবে। পরীক্ষার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক মাথায় রাখা উচিত:


1.পাঠ্যসূচির গভীর বিশ্লেষণ: প্রথমে সম্পূর্ণ সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং কোনগুলো কম, তা নির্ধারণ করা জরুরি।


2.প্রতিদিনের রুটিন তৈরি: প্রতিদিনের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা উচিত, যেখানে প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকবে। সময় অনুযায়ী রুটিন মেনে চললে সব বিষয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সহজ হবে।


3.নম্বরভিত্তিক অধ্যয়ন: যেহেতু প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট নাম্বার বরাদ্দ থাকে, তাই সেই অনুযায়ী অধ্যয়ন করা উচিত। থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল উভয় ক্ষেত্রেই ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে।


4.নোটস তৈরি: অধ্যয়নের সময় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো নোটস হিসেবে লিখে রাখা উচিত। পরীক্ষার আগে এই নোটসগুলো রিভিশনের জন্য খুবই কার্যকর হবে।


5.মক টেস্ট ও প্রশ্নব্যাংক: বিগত বছরের প্রশ্নব্যাংক এবং মক টেস্টের সাহায্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি পরীক্ষার ধরন এবং প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে ভালো ধারণা দেবে।


6.পড়াশোনার বাইরে কিছুটা বিশ্রাম: মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের প্রয়োজন। এতে মনোযোগ বাড়ে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।


বোর্ডের নির্দেশনার উপর নজর রাখা

শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বোর্ডের নির্দেশনা ও আপডেটগুলো নিয়মিত অনুসরণ করার জন্য। বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পরীক্ষার সময়সূচী, নম্বর বণ্টন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও পরীক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়, সেগুলো মনোযোগ সহকারে মেনে চলা উচিত।


ফলাফল প্রকাশ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা

পরীক্ষার পর ফলাফল প্রকাশের সময় শিক্ষার্থীদের মনে অনেক উত্তেজনা থাকে। তবে, যে ফলাফলই আসুক, তা গ্রহণ করতে হবে এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, স্কলারশিপের জন্য আবেদন, বা ক্যারিয়ার প্ল্যানিং—এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা উচিত।


সুতরাং, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া এবং পরিকল্পিতভাবে পড়াশোনা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা সহজ হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url